কয়েক দিন ধরেই দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে তাপদাহ বইছে। এই গরমে রাজধানী ঢাকায়ও জনজীবনে দুর্ভোগ নেমেছে। ভ্যাপসা গরমে ঘরে টেকাও দায়। ফ্যানের বাতাসেও মিলছে না স্বস্তি। সবকিছু মিলিয়ে প্রচণ্ড গরমে শেষ রমজানের দিকে রোজাদারদের প্রাণ প্রায় ওষ্ঠাগত। এ অবস্থায় ঢাকায় হালকা বৃষ্টিতে নগরবাসীর জীবনে স্বস্তি ফিরেছে।
আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছিল। বইছিল মৃদু তাপপ্রবাহ। তবে রোববার সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকার আকাশে ছিল মেঘের আনাগোনা। বেলা গড়াতেই ঢাকার আকাশে একেবারে মেঘে ঢেকে যায়। সকাল ৯টার পর হালকা বৃষ্টি শুরু হয় ঢাকার বিভিন্ন স্থানে। সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত রাজধানীর কোথাও কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়, কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টি হয়। সঙ্গে ছিল প্রাণজুড়ানো শীতল হাওয়া। বাতাস, মেঘ ও হালকা বৃষ্টির ফলে ঢাকায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।
রোববার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এতে বলা হয়েছে, পাবনা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, সিলেট, ঢাকা, খুলনা, যশোর, ফরিদপুর, কুমিল্লা, মাদারীপুর, বরিশাল এবং নোয়াখালী অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া দেশের অনত্র পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিমি বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর নৌ সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
শনিবার (৬ এপ্রিল) সারাদেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় সিলেটে ২১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় সিলেটে ২০ মিলিমিটার।
Posted ৮:০৩ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৪
dailymatrivumi.com | Mohammad Salahuddin